ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনা এখন সম্ভাব্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এই সংঘাত বিস্তৃত হলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, মুসলিম ধর্মীয় উৎসগুলোতে এমন একটি যুদ্ধের পূর্বাভাস বহু পূর্বেই পাওয়া গিয়েছে, যা কেয়ামতের পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেন: “খোরাসান থেকে একদল সৈন্য কালো পতাকা হাতে উঠে আসবে। কেউ তাদের থামাতে পারবে না যতক্ষণ না তারা বায়তুল মুকাদ্দাসে সেই পতাকা উত্তোলন করে।” [সূত্র: মুসলিম ইতিহাসবিদদের বিবরণ] এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়, খোরাসান, যা বর্তমানে ইরান, আফগানিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশ…
Author: অনলাইন ডেস্ক
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। বুধবার একটি প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেমকে উদ্বুদ্ধ করতে নিম্নোক্ত দিকনির্দেশনা মূলক একটি ‘শপথ’ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে পাঠ করানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত শপথ বাক্য হলো, ‘আমি শপথ করিতেছি যে মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি…
মানুষ মনে করে বিএনপি অসৎ, কিন্তু বিএনপি কখনও অন্যায় করবে না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। বিএনপি সততার দিক দিয়ে এক নম্বর। বিএনপি সততা দিয়ে মানুষের মন জয় করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের জেলা, মহানগর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিচারের নামে, সংস্কারের নামে বছরের পর বছর পার করতে দেওয়া যাবে না। ওই যে হাসিনা মাঝেমধ্যে বলে টুপ করে আইসা পড়বে।…
ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণ ইরানের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। বিজ্ঞাপন বুধবার (১৮ জুন) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিসিএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসরায়েলের ইরানের ওপর হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে এসব কথা বলেন। মুখপাত্র বলেন, উত্তর কোরিয়া ইসরায়েলের সামরিক হামলার কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাচ্ছে। ইসরায়েল যে ইরানে বেসামরিক জনগণকে হত্যা করছে, সেটি মানবতার বিরুদ্ধে ক্ষমাযোগ্য অপরাধ। বিজ্ঞাপন বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপক্ষীয় জঙ্গি হামলার এই অবৈধ কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের নতুন…
ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি সতর্ক করেছেন, ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে পুরো অঞ্চলের ওপর ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে। তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বিস্তৃত অরাজকতার জন্ম দিতে পারে, যা এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সব পক্ষের স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি ঘটাবে।’ আল-সিস্তানি ইরাক ও বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের ধর্মীয় পথপ্রদর্শক হিসেবে সম্মানিত। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতকে ‘অন্যায় যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—এই যুদ্ধ বন্ধে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পেতে যেন সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়।…
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল যদি তাদের হামলা বন্ধ করে, তবে তেহরানও আত্মরক্ষার জন্য চালানো প্রতিক্রিয়ামূলক আক্রমণ বন্ধ করবে। আজ তেহরানে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি। ইসরায়েল হামলা থামালেই আমরা উত্তেজনা হ্রাস করব।’ ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার বক্তব্য সম্প্রচারিত হয়েছে। গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানি গণমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা আক্রমণে ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। আরও তিনজন…
ইসরায়েল স্বপ্নেও ভাবেনি এত বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তাকে। রাজধানী তেলআবিবের কিছু এলাকা ইরান এমনভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যে, তা দেখে ফিলিস্তিনের গাজা বলে ভুল হতে পারে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেহরানেরও। এখন প্রশ্ন হলো ইরান-ইসরায়েল কি তাহলে আরও বড় আকারে যুদ্ধে জড়াবে? তাতে কি আমেরিকাও যোগ দেবে? হার মানবে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান? বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, ইরানের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যার কারণে দেশটিকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। চলুন দেখে নেই এমন অন্তত ৭টি কারণ, যা ইরানকে অজেয় করে রেখেছে। ইরানের সব থেকে বড় শক্তি সামরিক অস্ত্র নয়। বরং ভৌগোলিকভাবে পাওয়া একটি সমুদ্র পথ। যার নাম হরমুজ প্রণালি। ইরানের দক্ষিণ…
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় ইরানের আকাশপথ বন্ধ থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত এক মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরানি নাগরিকদের কাছ থেকে ভিসা অতিরিক্ত সময় থাকার জরিমানা ‘ওভারস্টে ফাইন’ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াম জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ইরানে ফিরে যেতে না পারা ইরানি নাগরিকদের জন্য ওভারস্টে ফাইন (ভিসা অতিরিক্ত সময় থাকার জরিমানা) মওকুফ করা হয়েছে। ওয়াম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই সিদ্ধান্ত সরাসরি অঞ্চলের ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির প্রতি প্রতিক্রিয়া। এতে করে যারা আকাশপথ বন্ধ থাকায় ইরানে ফিরতে পারছেন না, তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।’ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, এই ছাড়ের আওতায়…
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়লে তেহরান ‘কঠোর জবাব’ দেবে বলে ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছে ইরান। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি বাহরেইনি জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন। আলি বাহরেইনি বলেছেন, ‘‘আমরা ইসরায়েলের কার্যক্রমের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে সহানুভূতিশীল কিংবা জড়িত বলে মনে করছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইসরায়েলকে যেভাবে জবাব দিচ্ছি, ঠিক একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেও দেব। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সামরিক বাহিনী উপযুক্ত, সমানুপাতিক ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। আমরা এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার মাত্রা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি…। যখনই প্রয়োজন হবে, আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাব।’’ বুধবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সরাসরি কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তারা…
চতুর্মুখী চাপে তীব্র অভিমান নিয়ে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানান। কিন্তু উপদেষ্টাদের অনুরোধে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতেই সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি তো প্রধান উপদেষ্টা হতে চাইনি। একটা রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। আমাকে তো সংস্কারের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে। আমি তো শো-পিস হয়ে থাকতে আসিনি। কাজ করতে না পারলে পদত্যাগ করে চলে যাবো। সূত্র জানায়,…