বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন। এ উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ ক
রেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)।
নবী করিম (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন সিরাজাম মুনিরা—আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়ে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর অনুপম চরিত্র, দয়া ও মহৎ গুণের জন্য কুরআনে তাঁকে বলা হয়েছে উসওয়াতুন হাসানাহ্—সুন্দরতম আদর্শ।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণই একমাত্র পথ। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়, যেখানে নিহিত রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি।
পরিশেষে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দোয়া জানানো হয়—এ দিনটি সকলের মাঝে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হোক, আর মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি নিশ্চিত হোক। আমিন।